সফরের শুরুতে একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজের জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। টেস্ট ও ওয়ানডেতে শতভাগ সাফল্য নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজও নিশ্চিত করলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। সেই সাথে প্রায় এক মাসের সফর জয় ছাড়াই শেষ করতে হবে জিম্বাবুয়েকে। আর তিন ফরম্যাটে সিরিজ জিতে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এর আগে এমন অভিজ্ঞতা হয়নি বাংলাদেশের। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১১৯ রান। জবাবে ২৫ বল বাকি থাকতেই ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন লিটন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে ওপেনার তিনাশি কামুনহুকামুয়েকে (১০) জিম্বাবুয়ের দলীয় স্কোর ১২ হতেই। এরপর বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল ব্রেন্ডন টেলর ও ক্রেইগ আরভিনের জুটি। কিন্তু তাদের বেশিদূর যেতে দেননি আফিফ হোসেন। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় আরভিনকে ফেরান তিনি। তাকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন আরভিন। ৩৩ বলে ২৯ রান করে যান তিনি।
দলীয় ৭৬ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। মাহেদী হাসানের বলে স্ট্যাম্পড হয়ে ফিরে গেছেন অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। ৮ বল খেলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি। এরপর সিকান্দার রাজাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় সাইফউদ্দিনের বলে শর্ট ফাইন লেগে আল-আমিনের হাতে ধরা পড়েন। ১০ বল খেলে ১২ রান করে যান তিনি।
স্কোরকার্ডে ১ রান যোগ হতেই মুতুমবামিকে(১) ফেরান আল-আমিন। ১৬ তম ওভারের প্রথম বলেই আল আমিনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্যর তালুবন্দী হন তিনি।
ইনিংসের ১৯তম ওভারে মুতোমবোদজিকে (৩) নিজের প্রথম শিকার বানান। তবে অন্যরা যাওয়া আসার মিছিলে থাকলেও উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলর। তুলে নেন অর্ধশতক। একা হাতেই লড়েছেন জিম্বাবুয়ের পক্ষে। মুস্তাফিজুর রহমানের ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পূর্ণ করেন নিজের অর্ধশতক। আর এই ওভারেই মাধেভেরকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন কাটার মাস্টার। শেষ পর্যন্ত ব্রেন্ডন টেইলর করেন অপরাজিত ৪৮ বল খেলে ৫৯ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। আর ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন। এছাড়া আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
১২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে মন্থর খেললেও ধীরে ধীরে পরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে দুই ওপেনার লিটন-নাঈম। তবে দলীয় ৭৭ রানে দারুণ ছন্দে থাকা নাঈম ১১তম ওভারে ক্রিস এমপোফুর বলে বিদায় নেন। ৩৪ বলে ৫টি চারে ৩৩ করে বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে থাকা টিনাশে কামুনহুকামউইকে ক্যাচ দেন। তবে এরপরই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন দারুণ ফর্মে থাকা লিটন।
পরে লিটন-সৌম্যের ৪৩ রানের জুটিতে ২৫ বল বাকি থাকতেই ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০* রান করেছেন লিটন। ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য সরকার।
আগামী ১ এপ্রিল পাকিস্তানের করাচিতে একমাত্র ওয়ানডে আর ৫-৯ এপ্রিল সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলার কথা রয়েছে টাইগারদের।
পাঠকের মতামত: