কক্সবাজার, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ৭৭ জলদস্যু পরিবারকে ঈদ উপহার

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুদের ঈদ শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ হলরুমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আসা জলদস্যুদের পরিবারের মাঝে ওই উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। জলদস্যুদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনার মধ্যস্থতাকারী মীর মোহাম্মদ আকরাম হোছাইনের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে র‍্যাব-৭ (চট্টগ্রাম) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মশিউর রহমান বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের সম্মুখীন হতে হবে।

আমাদের উদ্দেশ্যে আমরা ভাল থাকি, সামাজকে ভাল রাখি। যারা অন্ধকার পথে আছে তাদের ধরিয়ে দিন। ওইসব অপরাধীদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তফিকুল আলম, পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুর রহমান মজুমদার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

ওইদিন উপক‚লীয় এলাকা মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, চকরিয়া ও পেকুয়া’র আত্মসমর্পণকারী ৭৭ পরিবারের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, নগদ টাকা ও ঈদ উপহার সমগ্রী বিতরণ করা হয়।
এদের মধ্যে মহেশখালী ৫০টি, কুতুবদিয়া ১০টি, বাঁশখালীর ১১টি, পেকুয়ায় ৫টি ও চকরিয়ায় ১টি পরিবারে মাঝে এসব উপহার তুলে দেন প্রধান অতিথি লেঃ কর্ণেল মশিউর রহমান। এসব উপহার সমগ্রী পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুর পরিবার। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা ।

আত্মসমর্পণকারী মহেশখালীর সেলিম বাদশার স্ত্রী পারভিন আকতার, মহেশখালীর নাসিমের ছেলে বাদল, কুতুবদিয়ার মিজানুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত আরা বেগম, পেকুয়ার আমির হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ঈদ উপলক্ষে এই উপহারগুলো আমারদের পরিবারের জন্য অনেক বড় উপহার।

পাঠকের মতামত: