কক্সবাজার, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে মুজিববর্ষের কর্মসূচি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে বিশ্বপরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও জনগণের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসমাগম হচ্ছে না। এতে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরাও আসছেন না। জনসমাগম এড়িয়ে ক্ষুদ্র প?রিসরে বঙ্গবন্ধুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

রোববার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকালে বাংলাদেশে তিনজন কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ার তথ্য প্রকাশিত হয়। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এ কথা জানানোর পর রাতে বৈঠকে বসে জাতীয় কমিটি।

বার্তা সংস্থা ইউএনিব জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার উপস্থিতিতে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভায় মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান বিষয়ে পর্যালোচনা হয়। ওই বৈঠক শেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করার কথা জানান কামাল আবদুল নাসের। তিনি জানান, বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে যে বিশ্ব পরিস্থিতি, সে বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় জনসমাগম পরিহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের কর্মসূচি থাকছে। এ ছাড়া স্মারক ডাকটিকিট ও মুদ্রা প্রকাশ করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তা–ও সীমিত পরিসরে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান প্রচার ও প্রকাশ করবে। সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এসবের মাধ্যমে জনগণ সম্পৃক্ত থাকবে।

নাসের চৌধুরী বলেন, জনসমাগম এড়িয়ে বছরব্যাপী সারাদেশে উদযাপন করা হবে মুজিববর্ষ। বিদেশি অতিথিদের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কামাল আবদুল নাসের বলেন, মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের আসার কথা ছিল আপনারা জানেন। সেখানে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র থেকে শুরু করে অনেকের আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা আপাতত আসবেন না। পরে বিদেশি অ?তি?থিদের ডাকা হবে। যেহেতু আমরা বর্তমান কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করছি, সেহেতু নতুন কর্মসূচি আগামীকাল (আজ সোমবার) বিকেল চারটায় আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে।

কামাল আবদুল নাসের বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও জনসমাগম পরিহার করার কথা বলা হয়েছে। কোনো অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়নি। কর্মসূচি যেভাবে সাজানো হয়েছিল সেটা পুনর্বিন্যাস করা হবে। প্যারেড স্কয়ারে জনসমাগমের যে অনুষ্ঠানটি সেটাকে পুনর্বিন্যাস করে পরবর্তীতে করা হবে। তবে বঙ্গবন্ধু ভবনে যে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং টুঙ্গিপাড়ায় যে শ্রদ্ধা নিবেদন সেই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা বাংলাদেশের দোয়া মাহফিল এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সেটাও থাকবে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ সোমবার আমাদের জাতীয় কমিটির সভা আছে, সেখানে আমরা আলোচনা করব। এর আগে দেশে তিনজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন। বৈঠ?কে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হা?সিনা ছাড়াও শেখ রেহানা উপ?স্থিত ছি?লেন।

বৈঠকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কীভাবে আয়োজন করা যেতে পারে তা নিয়ে বিস্তা?রিত আলোচনা হয়।

পাঠকের মতামত: