আমিনুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি::
টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আয়োজনে ইউনিসেফ এর সিফোরডি শাখার অর্থায়নে, কিশোর কিশোরীর অভিভাবকবৃন্দের অংশগ্রহণে সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে (২৮ নভেম্বর) রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টায় পর্যন্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে (২৮ নভেম্বর) রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টায় পর্যন্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পে বান্দরবান জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক আলুমং মার্মা, বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয়বার নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মংলাওয়েই মার্মা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন হেলালী পরিচালনায় বিভিন্ন বিষয়ে কিশোর কিশোরী ও পিসিএমসি কমিটি সভাপতি সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পে প্রশিক্ষক চৌচিং মার্মা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রশিদ। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১০টি ক্লাস্টারে ৯০টি পাড়াকেন্দ্রের কিশোর-কিশোরী, অভিভাবক, মাঠ সংগঠকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অভিভাবকবৃন্দের ও কিশোর কিশোরীর উদ্দেশ্য প্রধান অতিথি আলুমং মার্মা বলেন, প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগোষ্টির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে পার্বত্য জেলার অনগ্রসর জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সাম্যতা অর্জনের লক্ষ্যে মৌলিক সেবার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ এবং তা যথাযথভাবে বিতরন করে মা ও শিশুদের জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন বিষয়ে (পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে) টেকসই ব্যবহারিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
অভিভাবকবৃন্দের ও কিশোর কিশোরীর উদ্দেশ্য প্রধান অতিথি আলুমং মার্মা বলেন, প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগোষ্টির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে পার্বত্য জেলার অনগ্রসর জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সাম্যতা অর্জনের লক্ষ্যে মৌলিক সেবার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ এবং তা যথাযথভাবে বিতরন করে মা ও শিশুদের জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন বিষয়ে (পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে) টেকসই ব্যবহারিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষক চৌচিং মার্মা তিনি শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া এলাকার মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমানো। শিশু, কিশোরী ও নারীদের পুষ্টি সেবা প্রদানের মাধ্যমে অপুষ্টি জনিত সমস্যা দুরীকরনে সহায়তা করা। খন্ডখালীন কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন। শিশু, কিশোরী ও নারীদের পুষ্টি সেবা প্রদানের মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সহায়তা করা। শিশু বিকাশ ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে মেধার বিকাশ ঘটিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা এবং ঝড়ে পড়া রোধ করা। পানি ও সকলের জন্য সুপেয় পানি ও পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনমান বাড়ানো। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা। প্রকল্পের জনবল, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কিশোর-কিশোরী প্রথাগত নেতৃত্ব, ও কম্যুনিটির প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি। গওঝ কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে উন্নয়ন সুচকের পরিবর্তনের তথ্য আদান প্রদান ডিজিটাল পদ্ধতি প্রচলন।
সুবিধাবঞ্চিত এলাকা থেকে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা, পাড়াকেন্দ্রে জন্য মাল্টি মিডিয়া ভিত্তিক শিক্ষা কর্মসূচী চালু করা। সকলের জন্য সুপেয় পানি ও পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনমান বাড়ানো নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এবং সভাপতি কিশোর-কিশোরী ও অভিভাবকদের শপথ বাক্য প্রদানের মাধ্যমে সম্মেলন সমাপ্ত ঘোষনা করেন।
পাঠকের মতামত: