কক্সবাজার, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

নতুন বছরে সিরিজ জয়ের উচ্ছ্বাস বাংলাদেশের

ছোট লক্ষ্য। জিততে হলে বাংলাদেশের চাই ১৪৯ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে অনেকটা সহজেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের চমৎকার ব্যাটিংয়ে লাল-সবুজের দল জিতেছে সাত উইকেটে। তাই এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ডিং নৈপুণ্য, তামিম ইকবালের হাফেসঞ্চুরি ও মেহেদী হাসান মিরাজের বল হাতের সাফল্যে এই দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ।

উদ্বোধনীতে ব্যাট করতে নেমে তামিম দারুণ একটি হাফসেঞ্চুরি করে দলের জয়টাকে এগিয়ে দেন। তিনি ৭৬ বলে ৫০ রান করেন। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়া সাকিব অনেকদিন পর ব্যাট হাতে উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন। তিনি ৫০ বলে ৪৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।

উদ্বোধনীতে নেমে লিটন দাস কিছুটা আশার আলো দেখিয়েও পারেননি। ২৪ বলে ২২ রান করেন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন (১৭) শান্ত এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন।

অবশ্য সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ের বেহাল দশা সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও দেখা গেল। বাংলাদেশি স্পিনারদের দাপটে অল্প রানেই গুটিয়ে গেছে তারা। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের আক্রমণে ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস।

একটা সময় মনে হয়েছিল শতরানের কোটাও বুঝি পার হতে পারবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শেষ উইকেট জুটিতে রভম্যান পাওয়েল ও আকিল হোসেন ২৮ রানের জুটি গড়ে দলকে এই রান গড়ে দেন। পাওয়েল ৬৫ বল খরচায় ৪১ রান করেন। আর আকিল করেন ১২ রান।

এর আগে ম্যাচের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে আমব্রিসকে (৬) ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর এক ওভারে মিরাজ দুই উইকেট নেন।

ম্যাচের ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ওটলিকে (২৪) সাজঘরে ফেরান মিরাজ। একই ওভারের চতুর্থ বলে জশুয়া ডি সিলভাকেও (৫) আউট করেন তিনি।

এরপর একটি ইউকেট নেন সাকিব আল হাসান। আন্দ্রে ম্যাককার্থিকে (৩) বোল্ড করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আর কাইল মেয়ার্স (০) হন রানআউট।

আর এনক্রুমা বনার কিছুটা চেষ্টা করেও পারেননি। তিনি ২৫ বলে ২০ রান করে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের শিকার হন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন মোহাম্মেদকে এলবির ফাঁদে ফেলে সাকিব নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান। তিনি ২৬ বলে ১১ রান নেন। আর রেমন রিফারকে (২) প্যাভিলিয়নে পথ দেখান মিরাজ।

বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ চারটি, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান দুটি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান হাসান মাহমুদ।

পাঠকের মতামত: