টানা ছুটিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে পর্যটকদের বরাবরই পছন্দ কক্সবাজার। তাই কর্মজীবনের অবসাদ দূর করতে সুযোগ পেলেই মানুষ ছুটে আসে দেশের প্রধান এই পর্যটনকেন্দ্রে। শহরের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্টের ৭০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে।
এবারও শারদীয় দুর্গোৎসবের টানা চার দিনের ছুটিতে এখানকার পাহাড়-সমুদ্রের নির্মল প্রকৃতি দেখতে দেশের নানাপ্রান্ত থেকে কক্সবাজারমুখী হচ্ছেন পর্যটকরা।
পর্যটনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুলাই-আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন, ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে মানুষ তেমন ঘুরতে বের হয়নি। এরমধ্যে সরকার পরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভেঙে পড়ায় অনেকটা পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছিল কক্সবাজার। তবে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ধীরে ধীরে পর্যটক আসা শুরু করেছে।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে টানা চার দিন ছুটি পড়ছে। এই ছুটি কাটাতে এর মধ্যে শহরের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্টের ৭০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। পাঁচ তারকা হোটেলে আগামী ১১ ও ১২ অক্টোবর কোনো রুম খালি নেই।
বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ১৭ অক্টোবর রয়েছে বৌদ্ধসম্প্রদায়ের চীবরদান অনুষ্ঠান। গতকাল মঙ্গলবার থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ কারণে যারা পাহাড়ে ঘুরতে যান তারাও কক্সবাজার আসবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের যাতায়াত সুবিধার জন্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের শৈবাল ট্যুর অপারেটরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম বলেন, এ মাস থেকেই মূলত পর্যটন মাস ধরা হয়। দীর্ঘদিন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পর্যটক কম ছিল। এবার দুর্গাপূজার ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটবে। আগামী ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত শহরের তারকামানের হোটেলগুলোতে পর্যটকের চাপ বেশি থাকবে।
ট্যুরিষ্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) আবুল কালাম বলেন, টানা ছুটিতে পর্যটক সমাগম ও সমুদ্রসৈকতে প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে পর্যটন এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পর্যটকদের সেবা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান টিম মাঠে থাকবে। পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবে।
পাঠকের মতামত: