১১৬ রানের মামুলি পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জিততে হলে বোলিংয়ে নাটকীয় কিছু করে দেখাতে হতো বেক্সিমকো ঢাকাকে। কিন্তু রোমাঞ্চকর কিছুই করতে ব্যর্থ ঢাকা। আর তাই নিতান্তই অনায়াস ভঙ্গিতে প্রায় হেসে খেলে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে উঠে গেল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালের লড়াই হবে জেমকন খুলনা বনাম গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
প্রথম এলিমেনাটরিতে জিতলেও দ্বিতীয়টিতে এসে মুখ থুবড়ে পড়ল ঢাকা। ১১৬ রানের সামান্যতম সঞ্চয় নিয়ে বড় ম্যাচ জেতা যায় না। মুশফিক সেই দুঃখই করলেন টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে।
মিরপুরের উইকেটে এমনকিছু ছিল না যে ঢাকার ইনিংস থেমে যাবে মাত্র ১১৬ রানে। মুলত দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাই ডোবায় তাদের। ঢাকার ইনিংসে কোন ব্যাটসম্যানকেই আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি। মনে হচ্ছিল কেমন যেন একটা ভয় বা আতঙ্ক নিয়ে ব্যাট করছে পুরো দল। মিডলঅর্ডারে ঢাকার তিন ব্যাটসম্যান উইকেটে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শুরুর এবং মাঝের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ভারে শেষের ব্যাটসম্যানরাও ধসে পড়ে। ঢাকা শেষ পাঁচ উইকেট হারায় মাত্র ১৭ বলে তাও আবার মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে!
রান তাড়ায় নামা চট্টগ্রামের সফল ওপেনিং জুটি লিটন দাস ও সৌম্য সরকার যোগ করেন ৭ ওভারে ৪৪ রান। সৌম্য সরকার ২৩ বলে ২৭ রান করে রান আউট হন। লিটন দাসের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন ম্যাচ জয়ের বাকি কাজটা সেরে ফেলেন। ৪৯ বলে ৪০ রান করে লিটন যখন ফিরলেন তখন ম্যাচ জয় থেকে ১৬ রান দুরে দাড়িয়ে চট্টগ্রাম। বাউন্ডারি লাইনে দড়ির কাছে দাড়িয়ে মিথুনের ক্যাচও নেন সাব্বির রহমান দুর্দান্ত কায়দায়। ৩৫ বলে ৩৪ রান করে ফিরেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক। তবে ততক্ষণে ম্যাচ চট্টগ্রামের পকেটে।
টুর্নামেন্টে ঢাকা দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৬ উইকেটের মালিক মুক্তার আলী এই ম্যাচে মুশফিক বোলিং আক্রমণে আনেন ১৩ ওভার শেষে। উইকেট টেকিং একজন বোলারকে কেন এত দেরিতে মুশফিক বোলিংয়ে আনলেন ঠিক বোঝা গেল না!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বেক্সিমকো ঢাকা: ১১৬/১০ (২০ ওভারে, মুশফিক ২৫, ইয়াসির আলী ২৪, আল আমিন ২৫, মুস্তাফিজ ৩/৩২)।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: ১১৭/৩ (১৯. ১ ওভারে, লিটন দাস ৪০, সৌম্য ২৭, মিথুন ৩৪, মুক্তার আলী ১/২৮)।
ফল: চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী।
পাঠকের মতামত: