গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ::
টেকনাফে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা সু-কৌশল অবলম্বনকারী দুই মাদক কারবারী নিহত ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। নিহত মাদক কারবারী হচ্ছে, টেকনাফ পৌরসভা পুরাতন পল্লানপাড়া এলাকার সুলতানের পুত্র মোহাম্মদ উল্লাহ(৩০), হোয়াইক্যং ইউনিয়ন মিনা বাজার এলাকার জাফর আহাম্মদের পুত্র মিজানুর রহমান (২৭)।
ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার।
তথ্য সুত্রে জানাযায় ৬এপ্রিল গভীর রাতে মাদক পাচারে গোপন সংবাদ পেয়ে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের নেতুত্বে পুলিশের একটি দল টেকনাফ থানার অন্তর্গত হোয়াইক্যং ইউনিয়ন জিমংখালী উত্তর দিকে চিংড়ি প্রজেক্ট সংলগ্ন এলাকায় অভিযানে গেলে মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষন শুরু করে এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়। এরপর পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে।
উভয় পক্ষের গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই মাদক কারবারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষনা করে।
এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১৫ হাজার ইয়াবা,দেশীয় তৈরী ২টি অস্ত্র,৪ রাউন্ড গুলি,৬ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
সুত্রে আরো জানাযায়, উক্ত অভিযানে পুলিশ মাদক বহনকারী চট্রোমেট্রো-চ ১১- ৫০৮৯ একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার সময় রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ পৌরসভা হোটেল হিলটপের পাশে প্রধান সড়ক এলাকায় পৌছার পর মাইক্রো বাসের ইন্জিনে ত্রুটি থাকার কারনে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগে মাইক্রোবাসটি পুড়ে যায়।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন নিহত মাদক কারবারীরা দীর্ঘদিন আড়ালে থেকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে সু-কৌশল অবলম্বন করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তিনি আরো বলেন মাদক ব্যবসায়ী যতই কৌশল অবলম্বন করুক না কেন পুলিশের চলমান এই যুদ্ধ থেকে রেহাই পাবেনা।
পাঠকের মতামত: