কক্সবাজার, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

টানা চারদিনের ছুটি, মৌসুমের শুরুতে চাঙা পর্যটনখাত

টানা চার দিনের ছুটি নিয়ে অক্টোবর থেকে এবারের পর্যটন মৌসুম শুরু হচ্ছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারের তারকামানের হোটেলগুলোর কক্ষ এরই মধ্যে বুকিং প্রায় শেষ হয়ে গেছে।

 

সাপ্তাহিক দুই দিন মিলে দুর্গাপূজাসহ টানা চার দিনের ছুটি কক্সবাজারের পর্যটনসংশ্লিষ্টদের জন্য খুশির সংবাদ বয়ে এনেছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের ঢল নামবে।”

 

আগামী শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে রবিবার (১২ অক্টোবর) হচ্ছে দুর্গপূজার ছুটি। সেই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবারও সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় টানা চার দিনের ছুটি পেয়ে ভ্রমণপিপাসু চাকরিজীবীরা যেমন খুশি, তেমনি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। “

 

কক্সবাজারের কলাতলী সৈকতের তারকা হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্টের কর্মকর্তা আসাদ উল হক বলেন, ‘এবারের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে পূজার ছুটি যোগ হওয়ায় ভ্রমণ পিপাসুরা সে সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন। এ জন্যই অন্তত ১৫ দিন আগেই আমাদের হোটেলের ২৪৫টি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।’

 

হোটেল ভিজটা ‘বের ব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল জানান, ‘অক্টোবর হচ্ছে পর্যটন মৌসুম শুরুর মাস। এবারের টানা ছুটির সময়টি আমাদের জন্য সুসংবাদ বয়ে আনছে বলা যায়। এরই মধ্যে আমার হোটেলের ৮০টি কক্ষ শনি ও রবিবারের জন্য আগাম বুকিং হয়ে গেছে।’

 

হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলছেন, ‘টানা ছুটিতে এবার প্রচুরসংখ্যকপর্যটক আগমনের আভাস মিলেছে। এরই মধ্যে তারকা হোটেলগুলোর কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে সাধারণ হোটেলসহ কটেজগুলোতেও এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ে বেড়ানোর ঝুঁকি এড়াতেও এবার কক্সবাজারমুখী পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।’ এদিকে আগামী রবিবারের দুর্গাপূজা বিসর্জনের দিন সৈকতে সমবেত হবেন পূজারি ছাড়াও হাজারো পর্যটক। এসব বিবেচনায় রেখে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে। সেই সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশও সক্রিয় রয়েছে।

 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ামিন হোসেন জানিয়েছেন, সৈকতে দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানসহ পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

কক্সবাজার সৈকতে উদ্ধারকারী দল সী-সেইফ লাইফগার্ডের সমন্বয়কারী সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, ‘আমাদের লাইফগার্ডের ২৭ জন সদস্য সদা নিয়োজিত রয়েছেন পর্যটকদের বিপৎসংকুল পরিস্থিতিতে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য।’ তিনি পর্যটকদের অনুরোধ জানিয়েছেন, কেউ যাতে সাগরের জোয়ার-ভাটা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত না হয়ে আবেগ- উচ্ছ্বাসে পানিতে ঝাঁপিয়ে না পড়েন।

 

পাঠকের মতামত: