কবি রফিকুল ইসলাম রাইসুল
সুখগুলো ছিনতাই হয়ে গেছে অন্ধবেশে,
বিশ্বাসের ভাঙা-ব্রীজে তবুও আঁকছি মেঘবন্দি দ্বিধাগ্রস্ত ঘেঁষে।
বেদনার দীর্ঘরাত্রি শেষে,
দুঃখ পুড়িয়ে তবু দ্যাখা হউক
স্বপ্ন শুভ্রতা মিশে।
চন্দ্র হাসছে,
মানুষও অদ্ভুত নিয়মে হাসছে।
মেঘ কাঁদছে,
মানুষও কাঁদছে,
আমিও সংগোপনে অঝোর কাঁদছি,
কেন এতো কাঁদা,কেন কাঁদবে মানুষ?
বৃষ্টির মতো সবকান্না মুছে যাক,
ধ্বংশযজ্ঞ সব বারুদ নিভে গিয়ে
মানুষ পাক প্রণয়ের ডাক।
সে কবে নাগাদ অন্ধকার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,
এক মুঠো আলো পেলে যেন বাঁচি।
গোপনে জলোচ্ছ্বাস নামানো অশ্রুহীন চোখে,
দীর্ঘশ্বাস জমানো অবলা বুকে।
একটু তো শান্তি চাই,
সংঘাত নয়,সন্ধি চাই।
একটি সাদা ধবধবে ফুলের মতো,
নীড়ধরা পাখির মতো,
সদ্য গজানো গোলাপ,গুল্মের মতো,
গহীন শহরে হেঁটে হেঁটে এক চিলতা জ্যোৎস্না খাওয়া ভবঘুরের মতো।
আমিও এই পৃথিবীভেদ করে বাঁচতে চাই,
একটু আলো চাই,
দেবে কি?কে দেবে আলো?
আমিও তো মানুষ,যন্ত্র তো না?
থাকতে চাই অল্পখানেক ভালো।
পাঠকের মতামত: