গহীন অরণ্য থেকে খাবারের সন্ধানে চকরিয়ার লোকালয়ে নেমে এসেছে বন্যহাতির একটি পাল। ওই পালে শাবকসহ হাতির সংখ্যা প্রায় ২০টি। তন্মধ্যে দলছুট হয়ে পড়া একটি হাতির সামনে পড়ে গেলে স্থানীয় এক যুবককে শুঁড়ে তুলে আছাড় দেয়। এতে ওই যুবক গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে হাতির পালটি খাবারের সন্ধানে আসে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে। সেই ভোর থেকে হাতির পালটি এখানে-ওখানে খাবারের সন্ধান করতে গিয়ে সকাল এগারটার দিকে মানিকপুর বনবিটের ছিড়ামুড়া নামক স্থানে চলে আসে। ওই সময় দলছুট হাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হয় যুবক মো. ছফুর আলম (৩০)। সে কাকারা ইউনিয়নের পূর্ব বেপারীপাড়ার মোহাম্মদ কাশেমের পুত্র এবং পেশায় সিএনজি ট্যাক্সিচালক। ঘটনার সময় সে ছিঁড়ামুড়া এলাকায় সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন।
এদিকে খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির পালটি লোকালয়ে নেমে আসার খবরে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সারাদিন হাতি আতঙ্কে থাকে সুরাজপুর-মানিকপুর ও কাকারার মানুষ। আবার উৎসুক মানুষও নিরাপদ দূরত্বে থেকে হাতির পালটির গতিবিধি দেখতে থাকে। তবে বনবিভাগ এবং এলিপেন্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা হাতিকে বনের ভেতর ফেরাতে তৎপরতা চালান। গতকাল সন্ধ্যার আগপর্যন্ত হাতির পালটি সুরাজপুরের ছিঁড়ামুড়ায় অবস্থান করছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, খাবারের সন্ধানে এসে হাতির পালটি সারাদিন মানুষকে আতঙ্কে রাখে। পালটিতে শাবকসহ অন্তত ২০টি হাতি রয়েছে। তন্মধ্যে দলছুট একটি হাতির সামনে পড়ে গেলে হামলায় আহত হয় এক যুবক। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন, হাতির পালটি লোকালয়ে এসে জমির ফসলও নষ্ট করেছে।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীনস্থ কাকারা বনবিট কর্মকর্তা ফরেস্টার কামরুল হাসান বলেন, খাবারের খোঁজে শুক্রবার ভোরে এসে সারাদিন সুরাজপুরের ছিঁড়ামুড়া নামক স্থানে অবস্থান করে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পালটি পাহাড়েরর দিকে চলে যেতে থাকে। তারপরও হাতির পালটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে বনবিভাগ।
পাঠকের মতামত: