কাইছার সিকদার::
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সারা দেশের ন্যায় দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া ও রাখা হয়েছে লকডাউনে৷ যার ফলে কুতুবদিয়া থেকে কোন লোক বাহির কিংবা ভেতরে প্রবেশ করা সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়েছে৷ প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে সদা সতর্ক যাতে কেউ আদেশ অমান্য করে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এই দ্বীপে৷
কিন্তু কিছু অসচেতন নাগরিক প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে এক প্রকার লুকিয়ে ঢুকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কুতুবদিয়ায়, তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু বহন করে থাকলে শুধু মাত্র তাদের মাধ্যমেই ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস দ্বীপের আনাচেকানাচে, জন জীবন হয়ে উঠতে পারে বিপর্যস্ত৷
সতর্ক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের এই অপচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কুতুবদিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনুপ্রবেশ কারীদের আটক করে নিয়ে আসছে কোয়ারেন্টাইনের আওতায়, তাদের মধ্যে কেউ কেউ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলে ও বেশীর ভাগ লোককে রাখা হচ্ছে প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনে৷ তার জন্য একাধিক হোটেল, ডাক বাংলো প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন উপযোগী করে৷
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব- দিদারুল ফেরদৌস এর বরাত দিয়ে গত কাল ১৭ই মার্চ ২০২০ইং শুক্রবার উপজেলার আমজাখালী, মুরালিয়া, কৈয়ার বিলের ভিন্ন ভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে লকডাউন আদেশ অমান্য করে অতি ভোরে বেশ কিছু লোক ঢুকে পড়ে কুতুবদিয়ায়৷ খবর পেয়ে দ্রুত তিনি থানা পুলিশের একাধিক চৌকশ দলকে ঘটনা স্থলে প্রেরণ করেন৷ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পাওয়ায় উল্লেখিত স্থান সমুহে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ মিলে মোট ১৮জনকে আটক করেন কুতুবদিয়া থানা পুলিশ৷ পরে তাদের প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন৷
আটককৃতদের মধ্যে ৯ জন বিভিন্ন বয়সী নারী পোষাক শ্রমিক ও অন্য ৯ জন ভিন্ন ভিন্ন বয়সী পুরুষ রয়েছে, তারা দেশের করোনা আক্রান্তস্থান ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সাতকানিয়া থেকে কুতুবদিয়ায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন বলে থানা সুত্রে খবর পাওয়া যায়৷
ওসি দিদারুল ফেরদৌস আরো জানান, ইতি মধ্যে গত এক সপ্তাহে আরো ৫৮ জনকে প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে এবং নোভেল করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে কুতুবদিয়া বাসিকে সুরক্ষিত রাখতে তিনি ও তাঁর দল নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন৷ পাশাপাশি সর্বস্থরের জনতাকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি৷
পাঠকের মতামত: