কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৮৬

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৪৮টি। এর মধ্যে দেশের প্রধান সড়কগুলোতে ২৭ বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৬ জন নিহত ও ৩৫৭ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত কয়েক মাসের তুলনায় এপ্রিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনাসহ হেফাজতে মৃত্যু, নির্যাতন ও হয়রানি অনেকাংশে বেড়েছে, বেড়েছে কারা হেফাজতে মৃত্যু, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অপরদিকে গণপিটুনির মতো আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনাও বেড়েছে।

একাধিক জাতীয় পত্রিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ধর্ষণসহ নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকদের বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন চিন্তা, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের অধিকার রুদ্ধ করার মতো ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে হতাহতের মতো ঘটনাও বন্ধ হয়নি। এছাড়া নানা অজুহাতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছেই।

এছাড়া প্রায় প্রতিটি ঘটনা স্থানীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্সদের মাধ্যমে তা ভেরিফাই করা হয়েছে। চলতি মাসের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদক তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ৩০ দিনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সাতটি ঘটনা ঘটেছে। দু’টিতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও নৌ-পুলিশের গুলিতে একজন ও র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়। এছাড়া একই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় তিনজন নাগরিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে একজন নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, এপ্রিলে ৩৬৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৭১টি। এর মধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৪টি, ধর্ষণ ও হত্যা দু’টি। এর মধ্যে ৯ জন প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরী ধষর্ণের শিকার হয়েছে। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সাত মামলায় দুইজন আইনজীবী, একজন সাংবাদিক, একজন বিরোধী দলীয় নেতার ভাই ও একজন প্রবাসীসহ মোট পাঁচজন গ্রেফতার করা হয়েছেন।

এছাড়া এ মাসে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একজন সাংবাদিক সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। ১২ জন সাংবাদিক দায়িত্ব পালনে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন, দুইজন সাংবাদিককে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে, ৬ সাংবাদিককে হয়রানি করা হয়েছে, একজন সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আক্রমণ ও সীতাকুণ্ডে এক সাংবাদিকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের গালাগালিসহ সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ মাসে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১১টি ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি এ মাসে উদ্বেগজনক বিষয় ছিল গণপিটুনিতে হতাহতের ঘটনা। এ মাসে গনপিটুণিতে কমপক্ষে তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পাঠকের মতামত: