কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

উত্তাল বঙ্গোপসাগর, বন্দরে সতর্কতা

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ ‘আম্ফান’ ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপের কেন্দ্রে ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এটি আজকে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হবে আম্ফান। তবে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আগে বেশকিছু স্তর রয়েছে। লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ, তারপরের রূপটি হলো ঘূর্ণিঝড়।

শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। এটা সাগরে আছে। যদি ঘূর্ণিঝড় হয়, উপকূলীয় এলাকার দিকে আসে, তাহলে এটার প্রভাব পড়তে পারে। আর যদি ভারতের দিকে চলে যায়, তাহলে আমাদের এখানে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এখনও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি।

এ দিকে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

পাঠকের মতামত: