মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া বার্তা::
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খুলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম। ইতিমধ্যে উপকূলীয় মাছ ধরার ট্রলার গুলো নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় অশনি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, কার্যালয় থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলার ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এগুলোতে প্রায় এক লাখ মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুও রাখা যাবে।
এটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ কারণে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক-সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যে উপজেলায় মোট ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সিপিপি ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত এবং উপজেলায় জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে যার নাম্বার ০১৮৮২-১৬০০৮২”৷
পাঠকের মতামত: