কক্সবাজার, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উখিয়ায় ১৩ সালে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্রিজ ভাঙা মামলার সাক্ষী ছিলেন যারা

বিশেষ প্রতিনিধি::

২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর রাজাপালং ইউনিয়নের হিজিলিয়া এলাকায় হিজিলিয়া রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে ব্যারিকেট ও হিজিলিয়া লোহার ব্রিজের দুই পার্শ্বের লোহার গার্ডার বাঁকা করিয়ে রাস্তার উপর রাখিয়ে যানবাহন ও জনসাধারনের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি এবং ব্রিজের লোহার পাটাতন ইপড়াইয়া ফেলার চেষ্টা বলে এজাহারে উল্লেখ করে উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী সহ ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ জন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষী ছিলেন, তৎকালীন উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ, তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তামান যুবলীগ সভাপতি ইমাম হোসেন, তৎকালীন উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ নোমান ও আওয়ামী নেতা মখছুদ চৌধুরী৷ যার মামলা নং জিআর ২৪৫/১৩৷

তৎকালীন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদের নেতৃত্ব একটি সিন্ডিকেট ছিলো যারা বিএনপি নেতাদের মামলার আসামি করা হবে বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন৷ ঐ সিন্ডিকেটে ছিলেন ইমাম হোসেন, নোমান ও মখছুদ চৌধুরী৷ তাঁরা নিরীহ বিএনপি নেতাদের নামে মামলা হওয়া দুই-তৃতীয়াংশ সাক্ষী থাকতেন৷

তৎকালীন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন ছিলেন, নারী লোভী ও মামলাবাজ। সে টেন্ডার বাজী করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে যায়। কোথাও মামলা হলে সাক্ষী থাকতেন ১ থেকে ৩ নাম্বারে৷ এসব করে বর্তমানে লাখলাখ টাকার মালিক হয়৷

সৈয়দ মোহাম্মদ নোমান তখন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন৷ এই সভাপতিকে পুঁজি করে প্রভাব খাটাতেন দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, মাস্তানী ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রসেস করতেন৷ এসব করে তিনিও কোটি টাকার মালিক হয়৷

মখছুদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের আমলে অবৈধ ব্যবসা করতেন এবং রোহিঙ্গা যুবতীদের সাপ্লাই দিতেন কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে৷ তার এলাকায় প্রভাব খাটাতেন দখলদারত্বে। বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হলে মিথ্যা সাক্ষী দিতেন সবগুলো মামলায়৷ তিনি সাক্ষী দেওয়ার জন্য কক্সবাজার আদালতে পড়ে থাকতেন।

পাঁচ নাম্বার মামলার আসামি সুলতানা মাহমুদ চৌধুরী জানান, আমি আমার মায়ের কসম করে বলতেছি আওয়ামী লীগ যতগুলো মামলা করেছে সবগুলো মামলায় মিথ্যা৷ আমি কোনো দেশের সম্পদ নষ্ট করিনি৷ এই মিথ্যা মামলায় মিথ্যা সাক্ষী দিতেন আওয়ামীর নেতারা৷ তাঁরা আমার চোখেচোখে মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছেন৷ এসব মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া লোকদের আইনের আওতায় এনে বিচার হওয়া উচিৎ৷

পাঠকের মতামত: