নিজস্ব প্রতিবেদক::
কক্সবাজারের উখিয়ায় দিনদুপুরে প্রভাসীর সিএনজি গাড়ি থামিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুট করেছেন বলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে৷
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কোটবাজার থেকে উখিয়া আসা একটি সিএনজি গাড়ি রাজাপালং মাদ্রাসা সংলগ্ন জাদিমুড়া পৌঁছালে থামিয়ে লুটের ঘটনা ঘটে৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ওয়ার্ডবয় ও জাদিমুড়া এলাকার মোহাম্মদ শাহজালাল প্রকাশ জালালের দ্বিতীয় পুত্র মোহাম্মদ শামীমের নেতৃত্বে আবুল হোসেনের পুত্র আবু ছিদ্দিক ও জালাল একটি সিএনজি থামিয়ে প্রভাসী ও তাঁর স্ত্রীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে টাকা ও স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়৷
এদিকে উখিয়া থানায় দেওয়া এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত কিছুদিন আগে মালেশিয়া প্রভাসী নুর হোছন দেশে এসে বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার সকালে পারিবারিক কাজে কোট বাজার গেলে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে জাদিমুড়া নামক এলাকায় আসলে সিএনজি থামিয়ে হঠাৎ কোনো কথা ছাড়া মারধর করে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে ব্যাগে থাকা ৭৫ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়৷
আসামি গুলো হলেন, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং জাদিমুড়া এলাকার জালাল উদ্দিনের পুত্র মো শামীম(২৪), আবুল হোছনের পুত্র আবু ছিদ্দিক(৩৫), মৃত মোহাম্মদ হোছনের পুত্র জালাল উদ্দিন(৫০)।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসে মোহাম্মদ শাহজালাল প্রকাশ জালাল যিনি উখিয়া সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ডবয়ের পাওয়ার দেখিয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে তেড়ে এসে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দা মাষ্টার মহিবুল্লাহর উপর। সেখান থেকে তিনি আলোচনায় আসেন জালাল। জালাল মূলত পাওয়ার দেখায় “বড়ভাই খ্যাত” উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার একান্ত ও বিশ্বস্ত সহচর এবং রাজাপালং মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রের ভোটের ব্যালট পেপার ছেঁড়ার মূল দায়িত্বে থাকা মাষ্টার বেলাল উদ্দিনের আপন ভাই জালাল। তখন থেকে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে এলাকায় রামরাজত্ব করতেন মাষ্টার বেলাল ও তাঁর আপন ভাই বিতর্কীত জালাল।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এজাহারকারী নুর হোছন জানান, কোনো কথা ছাড়া দিনদুপুরে গাড়ি থামিয়ে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেন, পরে আমি ও আমার সাথে থাকা স্ত্রী চিৎকার করলে আশেপাশে থাকা লোকজন চলে আসলে আমার পকেটে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়৷ পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমি ও আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে একটু সুস্থতা অনুভব করলে হামলা ও টাকা স্বর্ণ লুট কারীদের শনাক্ত করে উখিয়া থানা এজাহার দায়ের করেছি৷ আমি একজন প্রভাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে সমস্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সহযোগিতা কামনা করছি৷
অভিযুক্তদের একাধিকবার ফোন করা হলে, তাঁরা কেউই ফোন রিসিভ করেননি৷
এজাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসেইন জানান, এজাহার পেয়েছি, তদন্ত করে প্রমাণ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
পাঠকের মতামত: