পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন সাথে কক্সবাজারের উখিয়ার সংযোগ তৈরি করা কুতুপালং পূর্ব পাড়া সড়কের একটি অংশে বড় ধরনের ভাঙ্গন দেখা গেছে।
ছোট খালের উপর নির্মিত কমপক্ষে এক দশক পুরনো ব্রিজ সংলগ্ন ভাঙ্গন কবলিত স্থানটি এখন হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনসাধারণের আতংকের কারণ।
সীমান্ত এলাকা ঘুমধুম-কুতুপালংয়ের হাজারো বাসিন্দা এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছে,বিশেষ করে রাতে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় বড় দূর্ঘটনার শংকা সৃষ্টি হয়েছে।
কিছু দিন আগে স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হোসাইন নিজের মোটর সাইকেল সহ এই স্থানে দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, বছর তিনেক আগে এই সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তখন এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে দাবী উঠেছিলো সড়ক সংস্কারের পাশাপাশি পুরনো ব্রিজ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে নির্মাণ করার।
স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উখিয়ার তত্ত্বাবধানে তড়িঘড়ি করে ঠিকাদার নাসির উদ্দিনের প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণ করে গেলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে সড়কে তৈরি হয়েছে বেহাল দশা।
একই সাথে জনদাবী উপেক্ষা করে এলজিইডি ব্রিজের বিষয়ে উদ্যোগী না হয়ে দায়সারা প্রকল্প সমাপ্তি করায় বর্তমান পরিস্থিতির উত্তরণ হয়েছে বলে জানান স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আবুল কালাম।
তিনি বলেন, ” সড়কটা নির্মাণ করায় আমাদের সুবিধা হয়েছে কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আজকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তখন চাইলে ব্রিজ নতুন করে তৈরি করা যেতো, এলজিইডির গাফিলতিমূলক মনোভাব এর জন্য দায়ী।”
রাজাপালংয়ের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ” এলাকার লোকজনের স্বার্থে দ্রুতই ভাঙ্গন তৈরি হওয়া জায়গাটি সংস্কার প্রয়োজন। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং এক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করবো।”
এ প্রসঙ্গে এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান বলেন, ” এবারের বর্ষায় সারা বাংলাদেশে একই অবস্থা।খালের ধারে, পুকুরের পাশে, ছড়ার পাশে, আবার যেখানে দখলীয় জায়গা আছে সেসব জায়গায় ভাঙ্গার প্রবণতা থাকবেই।”
সংস্কারে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান “এটা ঠেকাবার কোন উপায় থাকলে, আপনারা সাজেস্ট করেন, ব্যবস্থা নিতে পারলে সেভাবে নেয়ার চেষ্টা করব।”
পাঠকের মতামত: