টেকনাফের নাফনদী থেকে অপহরণের ২০ দিন পর দুই বাংলাদেশিসহ চারজন রোহিঙ্গা নাগরিককে ফেরত দিয়েছে মায়ানমারের আরাকান আর্মি।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা নাফনদী কেরর দ্বীপ থেকে দুই বাংলাদেশি ও চার রোহিঙ্গাসহ ছয়জন ফেরত এসেছে।
তারা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌচনী ৯নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আক্কাস (২৮) দুদু মিয়া (৫০) এবং হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া ২৭নং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আকরাম (৩৪), নুর হাফিজ (২২), আমির আহমেদ (৩৭), ও মোহাম্মদ নুর (৩৬)।
হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া ২৭ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের হেড মাঝি মোহাম্মদ নুর বলেন, মায়ানমারে আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা চারজন রোহিঙ্গা নাগরিক শনিবার ক্যাম্পে ফেরত এসেছে। বর্তমানে তারাসহ ছয়জন নিজেদের পরিবারের কাছে রয়েছে।
জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর দুপুরে টেকনাফে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া ২৭নং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের চার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি জেলে দুদু মিয়া ও মোহাম্মদ আক্কাস প্রতিদিনের মতো ককশীটের ভেলায় করে নাফ নদীতে মাছ শিকারে গেলে বিআরএম ১০ থেকে আনুমানিক এক দশমিক পাঁচ কিলোমিটার উত্তরে মায়ানমারের জলসীমানা অতিক্রম করে নাফনদীর লাল দ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছালে আরাকান আর্মি তাদেরকে আটক করে মায়ানমারে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের নাফপুরা নেমেরত নামে এলাকায় রাখা হয়।
দুদুর মিয়ার ছেলে মো. রাসেল বলেন, বাংলাদেশি দুজনকে ফেরত আনতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। তাদের দুজনকে আটক করে নিয়ে গিয়ে মায়ানমারে যুদ্ধ করার জন্য মাটির গর্ত খোঁড়ার কাজ করানো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, দীর্ঘদিন আগে মাছ শিকারে গিয়ে দুজন বাংলাদেশিসহ চার রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিজিবিকে অবগত জানানো হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে ফেরত আসে।
পাঠকের মতামত: