মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ চলার কারণে এপারে এশে পড়ছে মর্টার শেল ও গুলা। গতকাল সোমবার মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের জলপায়তলী সীমান্তে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) পার্বত্য বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সীমান্ত পরিদর্শনে এসে এসব কথা জানান।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক জানান, মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা চলছে বাংলাদেশ সীমান্তে। আমরা সীমান্ত এলাকার মানুষের আশ্রয়ের জন্য ২ টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি। আমরা আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে আহ্বান করব আপনারা সীমান্ত এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যান। আমরা সবাই একসাথে কাজ করছি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথেেও কথা হয়েছে যদি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় তাহলে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাব।
এসময় তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের ফেরত পাঠানো বা পুশব্যাক করার জন্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি তাদের ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে পারব।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সিমান্তের পরিস্থিতি কিছুটা আগের চেয়ে নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, আমরা বিজিবি, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং জেলা প্রশাসক একসাথে কাজ করছি। বিজিবির কাছ থেকে যে ধরনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে তা আমরা করছি। আরও সহায়তা লাগলে আমরা করবো।
পুলিশ সুপার বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে। এই এলাকার মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
পাঠকের মতামত: