কক্সবাজারের রামু উপজেলার দারিয়ারদিঘীর কচুবনিয়া এলাকা থেকে এশিয়ান জাতের একটি মৃত হাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। হাতিটির শরীরে কোনো অংশে আঘাতের চিহ্ন বা ক্ষত পাওয়া যায়নি।
বন বিভাগ বলছেন, বদহজম বা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে হাতির মৃত্যু হতে পারে। ওই হাতির বয়স আনুমানিক ৬৫-৭০ বছর হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন সেখানে গিয়ে হাতিটি উদ্ধার করেন।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ডিএফও) মো. সরওয়ার আলম বলেন, দুপুর ১২টার দিকে আমাদের কাছে খবর আসে একটি হাতি মৃত অবস্থায় ওই স্থানে পড়ে আছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে গিয়ে হাতির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করি। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ বা পেটে অসুখ হয়ে এ হাতির মৃত্যু হতে পারে। তার শরীরের কোনো অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ডাক্তার পরীক্ষা করে এমন তথ্যই পেয়েছে।
ডিএফও সরওয়ার আলম বলেন, এশিয়ান পুরুষ এই হাতির বয়স আনুমানিক ৬৫-৭০ বছর হতে পারে। একটি হাতি সাধারণত ৭০-৮০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। সেই ক্ষেত্রে বয়সের ভারে হাতিটি মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। আমরা এই মৃত্যুর বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে হাতির নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আরও বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে৷
বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, সকালে হঠাৎ দেখা যায় হাতিটি জঙ্গল থেকে এসে মাটিতে শুয়ে পড়ে। তখনই হাতিটি মারা যায়নি। স্থানীয়রা তাকে পানিও খাওয়াচ্ছিল। এরপর বন বিভাগকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে বিষয়টি দেখেন। ততক্ষণে হাতিটি মারা যায়।
দক্ষিণ বন বিভাগের রাজারকূল রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, হাতিটি অসুস্থ হয়ে অথবা বয়সের ভারে মারা যেতে পারে। কারণ এর শরীরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। হাতিটির পেট ফুলে গিয়ে খুবই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নমুনা সংগ্রহের পর মাটি চাপা দেওয়া হবে৷
পাঠকের মতামত: