কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নে দেড় কোটি ঘনফুট পাহাড় কেটে মাটি পাচারের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কসহ ২০ জনের নামে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এবং কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য মাহমুদুল করিম মাদু, পিএমখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কাদের, ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জোসেফ, একই ইউনিয়নের পরানিয়াপাড়ার ওবাইদুল করিম, মোহাম্মদ কাজল, মনিরুল ইসলাম মুন্না, নুরুল আমিন, তোতকখালী এলাকার মামুন, তাজমহল, কায়েস সিকদার, মোহাম্মদ সিরাজ, ছনখোলা এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, ঘোনারপাড়া এলাকার লুৎফর রহমান, সোনা আলী, উত্তর পরানিয়াপাড়ার মো. সোহেল, মোহাম্মদ শাহজাহান, নয়াপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হারুন, ডিকপাড়া এলাকার মোস্তাক আহমদ, রামু উপজেলার দক্ষিণ খুনিয়াপালং ইউনিয়নের নুরুল কবির বাবুল ও খুরুশকুল ইউনিয়নের লামাজিপাড়ার নাছির উদ্দিন।
সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের নির্দেশে মামলাটি করেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পিএমখালী ইউনিয়ন থেকে একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ আগস্ট ২৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মুফিদুল আলম। অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়কে বিষয়টি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।
গত ১২ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা কার্যালয় থেকে ২৩ জনের তালিকা পাঠানো হয়। তবে ওই তালিকায় চার প্রভাবশালী পাহাড়খেকোর নাম বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বাদ পড়াদের মধ্য থেকে ওবায়দুল করিমের নাম সংযুক্ত করে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন অধিদপ্তরের পরিচালক মুফিদুল আলম।
পাঠকের মতামত: