আজ জেনেভায় শুরু হচ্ছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের গুমসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের পাঁচ দিনব্যাপী ১২৭তম বৈঠক।
বৈঠকে বিভিন্ন দেশের গুম পরিস্থিতির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। কমিটি আগের বৈঠকে বাংলাদেশে ৭৬ জন গুম হয়েছিলেন বলে প্রতিবেদন সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছিল। বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে যে, গুম হওয়া কয়েকজনের সন্ধান পাওয়া গেছে।
পাঁচজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ তথা গুমসংক্রান্ত গ্রুপ গঠিত। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক হলেও তারা ওই সব দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারা স্বাধীন বিশেষজ্ঞ হওয়ায় নিজস্ব সূত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। তারপর প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছে শেয়ার করা হয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। গুম সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দেশগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার সুযোগ নেই।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে গুমসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিবেদন সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে ৭৬ জন বাংলাদেশির নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাস তালিকাটি ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায় জবাব দেওয়ার জন্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উত্তরে জানিয়েছে যে, নিখোঁজ থাকার পর বেশ কয়েকজন আবার ফিরেও এসেছেন। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে দেখা গেছে যে, নিখোঁজ কেউ কেউ ভারতে অবস্থান করছেন। তাদের অবস্থানের খবর যেসব গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে; ওই সব গণমাধ্যমের কপি ও লিংকও দেওয়া হয়।
সূত্রমতে, জেনেভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান ওয়ার্কিং গ্রপের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। ওই সময়ে রাষ্ট্রদূত নিখোঁজ হওয়াদের ফিরে আসা এবং বিদেশে থাকার তথ্য হস্তান্তর করেন। এভাবে যাদের সন্ধান মিলেছে তাদের নাম গুমের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার অনুরোধও বাংলাদেশের তরফে করা হয়েছে। উত্তরে গুমসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ বলেছে যে, নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি সময় সাপেক্ষ। গ্রুপের তরফে স্বাধীনভাবে বিষয়টি যাচাইয়ের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্র মতে, গুমসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ অনেক দেশের গুম পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিধায় তাদের পক্ষে স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। সে জন্যে বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া সময় সাপেক্ষ।
পাঠকের মতামত: