বিশেষ প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের উখিয়ায় উপজেলায় রাস্তার সীমানা বিরোধের জেরে আব্দুল আজিজ (৩০) নামে এক যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের হাজির পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে উখিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন৷
অভিযোগে উল্লেখ আছে, আব্দুল আজিজের বসতবাড়ির সীমানার ঘেরা-টেংরা দিয়ে বাসায় চলে যায়৷ হঠাৎ করে এলাকার কিছু লোক সীমানার ঘেরা-টেংরা লম্বা দা কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কেটে ছিড়ে ফেলেন৷ এসময় আমি (আব্দুল আজিজ) বাঁধা দিলে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার করেন হলদিয়াপালং ইউনিয়নের হাজির পাড়া এলাকার মৃত মো ইসমালের পুত্র আব্দুল খালেক(৫৫) ও আবুল মনজুর(৪২) এবং একই এলাকার মৃত মোজাফফর আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ছাবের(৫০), তাহের আহমদ(৪২)।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, আমার ঘেরা-টেংরা পরিকল্পিত ভাবে নষ্ট করে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন। তাঁরা ৪ জন আমাকে মারার জন্য লম্বা দা, কিরিচ, লাঠিসোঁটা দিয়ে আমাকে মারতে আসেন৷ তাঁরা আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করার সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়৷ চিকিৎসা শেষে বাসায় বিশ্রাম নিয়েছি৷
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মান্নান সিকদার জানান, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী আবদুল খালেকের নেতৃত্বে আব্দুল আজিজ কে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার করা হয়৷ পরে আমরা এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করায়৷ আমরা না থাকলে তাকে হত্যা করা হতো৷
অভিযোগকারী আব্দুল আজিজ জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর চলাচলের রাস্তার সীমানা তাদেরকে দিয়ে ঠিক করে ঘেরা-টেংরা দেওয়া হয়৷ পরে আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে আমার সীমানায় দেওয়া ঘেরা-টেংরা দা কিরিচ দিয়ে কেটতে থাকলে আমি বাঁধা দিলে আমাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার করেছেন৷ পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমি বেচে আছি৷ এবিষয়ে উখিয়া থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছি৷ আমি উখিয়া থানা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই পাশাপাশি ঘটে যাওয়া হত্যা চেষ্টার সুস্থ বিচার চাই৷
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন জানান, সীমানা বিরোধের কারণে শ্বাসরোধ করে আব্দুল আজিজ নামে এক যুবককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি৷ এ ঘটনায় তদন্তের জন্য এএসআই ইলিয়াস কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: