কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৮ ইউনিয়নে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যায় ২৮৬টি রাস্তার মধ্যে ৫৪টি রাস্তার ১৪ হাজার ৫৩০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কার্যালয় ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করেছে ১৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।
বেসরকারি হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হবে বলে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
এদিকে বিভিন্ন এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায়, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যায় চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের হারবাং মগপাড়া সড়কের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। হারবাং মগপাড়া সড়ক ও হারবাং জমিদারপাড়া-নাপিতের চিতা সড়কের নাজুক অবস্থায় হয়েছে বলে হারবাং স্থানীয় সমাজসেবক আজিজুল হক, রফিকুল ইসলাম ও গ্রাম পুলিশের দফাদার জাহেদ জানিয়েছেন।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান বলেন, বরইতলী ইউপি বায়া নাসির মুখের ঘাটা সড়ক, বরইতলী আরএইচডি-আলমনগর সড়ক, বিবিরখিল দক্ষিণ পাড়া সড়ক ও একতা বাজার পোকখাইয়া ঝিরি সড়কের নাজুক অবস্থা দেখা দিয়েছে। গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এ নিয়ে মানুষ বড় বিপাকে পড়েছে। সরকারের কোনো বরাদ্দ পাইনি আমি।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামীণ জনপদের ভেওলা-ঢেমুশিয়া-কোনাখালী সড়ক, সাহারবিল ইউপি থেকে বেতুয়া বাজার সড়ক, দৈংগাকাটা ব্রিজ চাঁদের বাপের পাড়া ও হারবাং বরইতলী সড়ক, পহরচান্দা শিকদারপাড়া গোবিন্দপুর সড়ক, হারবাং পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া সড়ক এবং হারবাং ববনবিভাগ অফিস-কোরবানিয়াঘোনা সড়কেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রাস্তা মেরামতের জন্য এলাকাবাসীর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মেরামত না হলে এলাকায় উৎপাদিত পণ্য ও কাঁচামাল সরবরাহ করতে সমস্যায় পড়তে হয় বলে স্থানীয় কৃষক বেলাল উদিন, কামাল হোসেন, আবুল কালাম মেম্বার, হেলাল উদিন সাওদাগর ও নুরুল আলম জানিয়েছেন।
এদিকে ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম জানান, কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় ফের মেরামতের কাজে হাত দিতে পারছি না, তবে জরুরিভিত্তিতে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: