কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিলা এলাকার আবদুল জব্বারের ছেলে মোহাম্মদ ছিদ্দিক (৭)। বুধবার (২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে তাঁর স্বজনরা। পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে জরুরী বিভাগে হামলা চালায়।
এই সময় দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এতে দুই সহকারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করেন পুলিশ-বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু স্বজনরা শিশুটিকে ঘরে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যায়। পরে স্বজনরা এসে হাসপাতালে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবাই মিলে কাজ করছি।
নিহত শিশুর বাবা আবদুল জব্বার বলেন, টমটমের দূর্ঘটনার শিকার হয়ে ছেলেকে চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তাদের ভুল চিকিৎসার কারনে ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তারা আমাদের রেফারের (হস্তান্তর) কোন কথা বলেনি।
তবে জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী মেডিকেল অফিসার শাখাওয়াত হোসেন মিন্টু বলেন, আহত শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিকেলে কক্সবাজারে রেফার করা হয়েছে। কিন্তু রোগীর স্বজনরা আড়াই ঘন্টা পর এসে শিশুর মৃত্যুর কথা বলে আমাদের উপর হামলা করে।
ঘটনার সুরাহা করতে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে নিহত স্বজনদের পরিবারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র, মেডিকেল অফিসার ডা. এনামুল হক, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন ও টেকনাফ সদরের চেয়ারম্যান জিয়ার রহমান জিহাদ।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আদনান চৌধুরী বলেন, এক শিশুর মৃত্যুর পর হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমাদের বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।
পাঠকের মতামত: