স্বাবলম্বী হচ্ছেন নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। রিকশা চালানো, মুদি দোকান, ফসল উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করছেন পুরুষরা। আর হাতের কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে পোশাক তৈরি করে মাসে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা আয় করছেন নারীরাও।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জীবন মান ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। বাসস্থান, খাবার, জীবন-জীবিকাসহ সব সুযোগ-সুবিধা এখন বাস্তব। বর্তমানে ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩২ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন।
রোহিঙ্গারা নানা ধরনের কাজে যুক্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। রিকশা ও ভ্যান চালিয়ে অর্থ উপার্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পুরুষরা। নিজের ঘরের সামনে কেউ সবজি চাষ করছেন, কেউ বা দোকানে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন।
এক রোহিঙ্গা মুদি দোকানি বলেন, সারা দিন বিক্রি করে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় হয়। তা দিয়ে সংসারের বাজার করতে পারি।
রিকশা চালিয়ে সারা দিনে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা আয় হয় বলে জানান এক রোহিঙ্গা রিকশাওয়ালা।
শুধু পুরুষ নয়, পাঞ্জাবি, শার্টসহ বিভিন্ন পোশাক তৈরির কাজে যুক্ত হয়ে মাসে ৬ হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা আয় করছেন রোহিঙ্গা নারীরাও।
রোহিঙ্গা নারীরা জানান, ৩ মাস ট্রেনিং দিয়েছে। তারপর এখন এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সামনে যদি আরও সুযোগ পাই তাহলে আরও ভালো করব।
রোহিঙ্গারা এনজিওগুলোর সহায়তা নিয়ে কর্মমুখী নানা ধরনের কাজে যুক্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক ক্যাপ্টেন মো. হাবিব উল আলম।
তিনি বলেন, তারা জমির চাষাবাদ করছেন। এতে এখানে ফসলের ফলন আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের দিয়েই এ সমস্ত কাজ করানো হচ্ছে।
বর্তমানে এনজিওসহ সরকারি-বেসরকারি ৪০টি প্রতিষ্ঠান রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
পাঠকের মতামত: