কক্সবাজার, রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

মাঠে নামেনি নাইক্ষ্যংছিতে..

এনজিও গুলি,জনগনের পাশে এক মাত্র স্থানিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

আমিনুল ইসলাম, নাইক্ষ্যছড়ি::

দৈনন্দিন সেবামূলক নানা কাজে সহায়তার দেয়ার জন্য “দূর্যোগে মানবিক প্রয়াস নাইক্ষ্যংছড়ি” এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি গড়ে উঠেছে নাইক্ষ্যংছড়িতে।

এ সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ পেয়েছে ২০২০ সালের ২৮ মার্চ । প্রতিবেদক এর সাতে আলাপ কলে সংগঠনের নেত্রিবৃন্দ জানান
এদিকে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এই পর্যন্ত ৫ ইউনিয়নের মধ্যে ৪ ইউনিয়নে প্রায় ৬শত পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে সংগঠনটি । খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত।

অন্য দিকে উপজেলার বেশ কয়েকটি এনজিও সংস্থা রয়েছে। এই মহামারীর মতো ভয়াবহ পরিস্থিতে এই এনজিও সংস্থার কর্মীদের মাঠ পর্যায়ে কোন সহযোগিতা কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে না। দেশের এমন পরিস্থিতিতে চুপ করে বসে থাকা বিষয় নিয়ে বেশ সমালোচনায় পড়েছে এনজিও কর্মীরা।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সকল এনজিও সংস্থা গুলোকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা কাজের কার্যক্রম চালু করার জন্য মাঠে নামার অনুরুধ জানিয়েছেন সংগঠনটির মহা-সচিব তসলিম ইকবাল চৌধুরী সহ সাধারন জনগন

স্থানিয়রা জানান, এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মোকাবেলায় বিভিন্ন কার্যক্রম একাধিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকা ও এলাকার বাইরে বিত্তশালীরা সংগঠনটির অর্থ তহবিলের কয়েকটি বি-ক্যাশ নাম্বারে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছে অনেকে।

‘দূর্যোগে মানবিক প্রয়াস নাইক্ষ্যংছড়ি’ নামক একটি ফেসবুক পেইজ আইডি খোলা হয়েছে। এতে আর্থিক সহায়তা ব্যাক্তিদের নাম ও সাহায্যের পরিমাণ তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।

এলাকার মানুষের অদৃষ্টিগোচর হয়েছে দূর্যোগে মানবিক প্রয়াস নাইক্ষ্যংছি’ সংগঠনটি। এতে পুরো এলাকা জুড়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন সৃষ্টি করেছে সংগঠনটি । সুনামের বাতাস ছড়িয়ে পড়ছে পুরো উপজেলায়। সেই সুনামের শরীক হতে এবং দৈনন্দিন সেবা কাজেই এলাকার তরুণেরা স্বেচ্ছায় যোগ দিচ্ছে অনন্তত ১০/১৫ করে ।

সংগঠন সূত্রে জানান, সামাজিক যোগাযোগ (ফেসবুক) মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে কাজের সমন্বয় করছে সংগঠনটি। কারোনর ভয়াবহ পরিস্থিতে কর্মীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাঠে রয়েছে। তাই অামাদের মাঝে বেশী প্রাধন্য পাচ্ছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য মিডায়া গুলো ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) এবং অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এই আর্তমানবতা কাজের সংবাদ ছাপানোর পর স্বেচ্ছায় এলাকার তরুনেরা দূর্যোগে মানবিক প্রয়াসের ব্যানারে এখন রাস্তায় নেমে এসেছে এবং তাদের বিনামূল্যের সেবা সম্পর্কে জনগণকে জানাতে।

এ কর্মকাণ্ডের সমন্বয় করছে “দূর্যোগে মানবিক প্রয়াস নাইক্ষ্যংছড়ি” নামক সংগঠনটির প্রবক্তা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো,শফি উল্লাহ।

সংগঠনটির সমন্বকারী কো-মহাসচিব মো,নুরুল কাশেম বলেন, ‘অসুস্থ হলে আমরা দেখতে কেমন, কোথায় বাস করি বা কত টাকার মালিক এসবের চেয়ে বরং একটি কথাই আমাদের মনে পড়ে বেশি যে আমরা সবাই মূলত মানুষ। আর আমরা এই নেটওয়ার্কটি গড়ে তুলেছি যাতে এই ভায়াবহ করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকার পরিস্থিতিতে এবং বিপদের সময় কোনো মানুষ নিজেকে একা এবং অসহায় ভাবতে না পারে। এই ভাইরাসের মহামারিতে সমাজের যেসব অসাম্য ও বৈষম্য আরো প্রকট হয়ে দেখা দিবে সেসব কমিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।

সংগঠনে যোগ দেয়া তরুণেরা জানান, এই মানবসেবার কার্যক্রমগুলো বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। তখন এই আর্তমানবতায় ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো সংগঠনের পাশে থাকার একাত্ব ঘোষণা করছি। এ দূর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে পারলে তখন আমাদের সমাজের বৈষম্য দূরকরন করা সম্ভব।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক এনজিও কর্মী জানান, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নির্দেশ এখনো আসেনি। সরকারের প্রশাসন এ ভয়াবহ পরিস্থিতে মানুষের কাছে কি পাঠাতে পারচ্ছেন তা পর্যবেক্ষণে আছে এনজিও সংস্থার নীতিনির্ধারকরা। আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে অব্যস্ত। সুরক্ষিত রাখার মতো ব্যবস্থা নিয়ে অসহায় মানুষের দাঁরগোড়ায় পৌঁছে যাবো ।

সংগঠনের নেত্রিবৃন্দ আরো জানান কোন পাড়া গ্রামে যেকোন মানুষ খাবারের সংকটে পড়লে, তাদের জানালে তারা খাদ্যের ব্যবস্তা করবে।

পাঠকের মতামত: