কক্সবাজার, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সামিট-মিতসুবিশি বিনিয়োগ করবে ৩ বিলিয়ন ডলার

প্রধানমন্ত্রীর সাথে আজিজ খান ও মিতসুবিশি কর্পোরেশনের প্রাকৃতিক গ্যাস গ্রুপের গ্রুপ সিইও জুন নিশিজাওয়া

দেশের অন্যতম শিল্পগ্রুপ সামিটি ও জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন যৌথভাবে বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিনিয়োগের অগ্রতগি নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছে সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান এবং মিতসুবিশি কর্পোরেশনের প্রাকৃতিক গ্যাস গ্রুপের গ্রুপ সিইও জুন নিশিজাওয়া।

সম্প্রতি টোকিও’র নিউ অটানি হোটেলে ব্যবসায়িক সভার প্রাতরাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেন তারা। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে সামিট, মিতসুবিশি এবং জিই’র ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এছাড়াও তাঁরা সামিট এবং মিতসুবিশির অন্যান্য বিদ্যুৎ এবং জ্বালানী প্রকল্প নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেন।

মিতসুবিশি কর্পোরেশনের প্রাকৃতিক গ্যাস গ্রুপের গ্রুপ সিইও জুন নিশিজাওয়া বলেন, সামিট গ্রুপের সাথে বাংলাদেশের দ্বিতীয় এফএসআরইউ টার্মিনালের সফল বাস্তবায়নে অংশীদার হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। মিতসুবিশির এ বিষয় অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানী চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে আমাদের অংশীদার সামিট গ্রুপের সাথে আমরা গ্যাস-টু-পাওয়ার প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চাই।

সামিট, মিতসুবিশি এবং জিই’র তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত :

এই প্রকল্পের মধ্যে থাকছে ৬০০ মেগাওয়াটের চার বিদ্যুৎ কেন্দ্র ( মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট)। আরও থাকবে এলএনজি টার্মিনালের দুটি ইউনিট যার মোট ধারণক্ষমতা হবে তিন লাখ আশি হাজার কিউবিক মিটার, এক লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন তেল টার্মিনাল এবং আরও একটি ৩০০ মেগাওয়াটের এইচএফও -ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

সামিট এই প্রকল্পের প্রধান অংশীদার হবে আর বাকির অংশীদারিত্ব থাকবে মিতসুবিশি এবং জিই’র। এ প্রকল্পটি ২০১৯ সালে শুরু হয়ে, বিশ্বের সেরা ট্যারিফে ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৩ সালে, সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে।

পাঠকের মতামত: