কক্সবাজার, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের (২নং প্যানেল চেয়ারম্যান) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আবুল কালাম

উখিয়ার জালিয়াপালং পরিষদে ফিরছে জনগনের নাগরিক সেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক::

কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) প্যানেল ২ এর দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আবুল কালাম। গত মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদের সভায় সর্বসম্মতভাবে তাঁকে এই দায়িত্ব প্রদান করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে নাগরিক সেবায় ফিরেছেন এই ইউনিয়ন পরিষদে। অনেকদিন পর জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ নিতে আসা আব্দুল করিম৷

ছবি মোহাম্মদ আবুল কালাম

তিনি ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। ২০১৬ সালে নির্বাচনে তিনি প্রথমবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় বারের মতো ২০২১ সালে তিনি ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন৷ এরপরে তিনি জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়৷

বড় ইনানী এলাকার নুর জাহান জানান, আমাদের এখন স্বস্তি ফিরেছে৷ আমি সৈয়দ আলম চেয়ারম্যান থাকতে পরিষদে আসতে পারিনি৷ তিনি দলীয়করণ করে পরিষদ পরিচালনা করেছেন৷ তিনি দালালদের মাধ্যমে কাজ করতেন৷ তাই আমি বলবো বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পরিষদকে দালাল মুক্ত করতে হবে৷

দুইমুয়া এলাকার সোহেল রানা জানান, পরিষদে যে নৈরাজ্য চালিয়েছিলো সেগুলো পুষিয়ে উঠতে এই পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অনেক কাজ করতে হবে৷ সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম চাঁদাবাজি করে করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি, কিনেছে নামে-বেনামে জমি, করেছেন তৃতীয় বিয়ে৷ কি করেছি এই চাঁদাবাজ চেয়ারম্যান৷

পরিষদে সেবায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, সাবেক জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম চাঁদাবাজি মামলায় পলাতক থাকায় আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন৷ সৈয়দ আলম থাকতে যে পরিমাণ লুটপাট করা হয়েছে তা জালিয়াপালং ইউনিয়ন মানুষ জানে এবং দেখেন৷ চাল বিতরণে অনিয়ম, বাজার থেকে চাঁদা আদায়, নারী কেলেঙ্কারির, বিভিন্ন টেন্ডারবাজি সহ নানান ধরনের অভিযোগ রয়েছে৷ বর্তমানে তিনি চাঁদাবাজি ওয়ারেন্ট আসামি হিসেবে পলাতক আছেন৷

তিনি আরও জানান, আমি এই চেয়ারে বসার পরে জনগনের স্বস্তি ফিরেছে৷ চলমান ভোটার হালনাগাদে সাধারণ ভোটার প্রার্থীদের বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে৷ সৈয়দ আলম পলাতক থাকায় পরিষদে ভোগান্তিতে ছিলো সাধারণ মানুষ৷

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম ছোটি নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে৷ তবে এই চিঠি এখনো আমার হাতে আসেনি৷ তিনি যাওয়ার সময় আমাকে মৌখিকভাবে বলছিলেন অসুস্থ তাই কিছুদিন ছুটি থাকবো৷ ইউপি সদস্য আবুল কালাম প্যানেল ২নং হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান না থাকায় তিনি চেয়ারম্যান জায়গায় স্বাক্ষর করছেন৷

পাঠকের মতামত: