কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

অবৈধ গরু-মহিষ ও মাদক পাচার রোধে সকলের সহযোগিতা চাইলেন বিজিবি সেক্টর কমান্ডার

রামু প্রতিনিধি::

রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চলমান মায়ানমারের অবৈধ গরু, ইয়াবা ও অবৈধ মাদক পাচার রোধে সকলের সহযোগিতা চাইলেন – বিজিবি সেক্টর কমান্ডার রামু কর্ণেল মোঃ মেহেদী হোছাইন কবির।

আজ ১৫ই মার্চ (বুধবার) সকাল ১১ টায়, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কর্তৃক আয়োজিত জনসচেতনতামূলক সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন , সাম্প্রতিক সময়ে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেষা এলাকাগুলোতে অন্যান্য অবৈধ চোরাচালানের পাশাপাশি গবাদি পশু চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভা‌বে। প্রভাবশালী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে।

কর্ণেল মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, বর্তমান সময়ের বড় একটি সমস্যার নাম নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের অবৈধ চোরাকারবারীরা। এরা রাষ্ট্রের আর্থিক অবকাঠামো ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করছে । দেশীয় গরুর খামারীরা আজ পথে বসেছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা এখানকার অসাধুরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে বিদেশী গরু, মহিষ ও ইয়াবা আনতে মরিয়া হয়ে আছে।
কিন্তু বিজিবির কঠোরতা তা পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না।

কর্ণেল মেহেদী হোসাইন কবির আরও বলেন, গত ৩ মাসে এখানকার সীমান্ত রক্ষী বিজিবি ১২০০শ গবাদী পশু জব্দ করেছে। তিনি বলেন , যে সকল গবাদিপশু পাচার হয়েছে, তার ১০ ভাগ বিজিবি জব্দ করতে পেরেছে মাত্র।

তিনি জোর দিয়ে বলেন এসব থামানোর সময় এসেছে । সবাই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসলে এসব থামানো খুব সহজ হবে। এসময় তিনি জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সমাজকর্মী,সরকারী- বেসরকারী সকলের সহায়তা কামনা করেন।
জনসচেতনতামূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ রেজাউল করিম। এসময় তিনি বলেন, দিনে রাতে বিজিবি কাজ করছে চোরাচালান বন্ধে। পাহাড়ে গাজা আফিম চাষ হচ্ছে। এ সব বন্ধে পাহাড়ী হেডম্যানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, এ এলাকার মানুষ সবাই খারাপ না। ভালো খারাপ সবখানে আছে। যারা অবৈধভাবে মিয়ানমারে টাকা পাচার করে গরু আনছে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন,ঘরের ভেতর বা অন্যত্র চোরাই পণ্য রাখলে জব্দ করার এখতিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রয়েছে। এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যছড়িতে প্রশাসন কঠোর। রামুর প্রশাসনের ক্ষেত্রে নাইক্ষ্যংছড়ি প্রশাসনের কঠোরতা অনুসরণ করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাইফুল ইসলাম
রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল,বান্দরবান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর উপপরিচালক

রুহুল আমিন, নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও দোছড়ির চেয়ারম্যান মোঃ ইমরান,গর্জনিয়ার চেয়ারম্যান মুজিবুল রহমান বাবুল।

সভায় উপস্থিত ছিলেন,বাইশারীরর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম,সদরের চেয়ারম্যান নুরুল আবসার,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আবদুল হামিদ,রামু প্রেস ক্লাবের সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া,সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ,হেড়ম্যান মংনু মার্মা প্রমূখ।বিকেলে একই মঞ্চে ১১ বিজিবি কতৃক আয়োজিত উপজেলার সকল হেডম্যান- কারবারীদের নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময তিনি বলেন, হেডম্যান- কারবারীরা বিজিবির সহায়ক শক্তি। তারা বিজিবিকে অনেক সহায়তা করে আসছে।
তিনি তাদের এবং জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকদের মাদক ও গরু চোরাচালান বিষয়ে সহায়তা করা করার জন্যে আহবান জানান। এ সভায় অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক,সাংবাদিক,

জনপ্রতিনিধি,শিক্ষার্থী,সচেতন সহল,
,উপজাতি প্রতিনিধিসহ কয়েকশত মানুষ।
সম্মলন শেষে হেডম্যান কারবারীদের
জন্যে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পাঠকের মতামত: