শুক্রবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে দশটা। কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তীব্র গরমের মধ্যে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা তখন থাইংখালী ১৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কারিতাসের সেল্টার অফিস থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মানুষের তখন ছুটাছুটি শুরু হয়ে যায়। মিয়ানমার থেকে এসে তিলে তিলে যে জিনিসপত্রগুলো ছোট্ট ঘরটাতে সঞ্চয় করেছে সেগুলো বাঁচাতে তাদের আকুতির কোন শেষ নেই।
তখন থেকে ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। একে একে যোগ দেয় ৮টি ইউনিট। তাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুনের লেলিহান শিখা। কিন্তু তার আগেই আগুনে পুড়ে যায় হাজারো রোহিঙ্গাদের স্বপ্ন। হাজারো রোহিঙ্গা এখন খোলা আকাশের নীচে সেল্টারহীন। তবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
ক্যাম্প থেকে পাওয়া ইন্সিডেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্যাম্পের আগুনে ৪৩০ টি সেল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে পুড়ে গেছে ২১০ টি সেল্টার। যার কারণে ৪ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ২২০ টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৪৫ টি দোকান পুড়ে গেছে।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা বলেন, ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সকাল সাড়ে দশটার দিকে খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা কাজ শুরু করি। ফায়ার সার্ভিসের ৮ টি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। যেখানে ২ শতাধিক সেল্টার পুড়ে গেছে।
রোহিঙ্গারা জানান, হঠাৎ কারিতাস অফিস থেকে আগুন ধরলে আমরা নিরাপদে ছুটে আসি। তারপর ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। আমরা এখন খোলা আকাশের নীচে।
এবিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সাথে সমন্বয় করে বিষয়টি নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: