কক্সবাজার, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

উখিয়া ওয়ালা বিট কর্মকর্তার দুধের গাভী হেডম্যান শামশু

বিশেষ প্রতিনিধি::

উখিয়া বন রেঞ্জের ওয়ালা বনবিটের শীর্ষ দুর্ণীতিবাজ বিট কর্মকর্তা রনির লাগামহীন চাঁদাবাজিতে ওয়ালা বনবিটের সরকারি বনাঞ্চল শূন্যের কোঠার উপক্রম দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র মতে, বিট কর্মকর্তা রনি ওয়ালা বনবিটের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে হেডম্যান শামশুকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে বিটের চিহ্নিত ভুমিদস্যুদের সাথে আতাঁত করে সরকারি বনাঞ্চল বেছা– বিক্রি ও স্থাপনা নির্মানে সহযোগিতা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও রহস্য জনক কারণে দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও উখিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম রয়েছে নিরব দর্শকের ভুমিকায়।

ওয়ালা বনবিটের উত্তর পুকুরিয়া এলাকার অবৈধ স্থাপনাকারী, মকবুল আহমদ এর ছেলে চিহ্নিত ভুমিদস্যু উসমান সাওদাগর, মৃত গুরা মিয়ার ছেলে নুরুল হক, দুবাই প্রবাসী কাশেম, মৃত মতিউর রহমানের ছেলে কালু সাওদার বলেন, আমরা বিট কর্মকর্তা রনি ও হেডম্যান শামশুকে টাকা দিয়ে স্থাপনা করতেছি। সবাই যদি বন বিভাগকে টাকা দিয়ে স্থাপনা করতে পারে,৷ তাহলে আমরা কেন পারবোনা।

কালু সাওদাগর ও উসমান সাওদাগর ক্ষুব্দ কণ্ঠে বলেন, আমরা দুইজন ২ লাখ টাকা দিয়ে স্থাপনা করতেছি।

স্থানীয় পরিবেশ বিদরা বলেন, উখিয়া বন রেঞ্জের এ নৈরাজ্য কে থামাবে, অচিরেই অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তা রনি ও হেডম্যানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা না হলে এ বন সম্পদ কখনো রক্ষা করা সম্ভব হবেনা বলে তারা জানান।

হেডম্যান শামশু বলেন, অবৈধ স্থাপনা থেকে বিট অফিসার যে ভাবে টাকা নিতে বলেছে, আমি ঠিক সেই ভাবে টাকা গুলো নিয়ে বিট অফিসারের হাতে দিয়েছি।

ওয়ালা বিট কর্মকর্তা রনির নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারীদের নিকট থেকে টাকা শামশু হেডম্যান নিয়েছে, আমি কোন টাকা নেয়নি।

পাঠকের মতামত: