পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে নেত্রকোনায় তিনজন, বগুড়ায় তিন, দিনাজপুরে এক, বরিশালে এক, যশোরে এক, মাদারীপুরে এক, গাজীপুরে এক, ফরিদপুরে এক ও মেহেরপুরে একজন রয়েছেন।
শনিবার (২২ এপ্রিল) পৃথক পৃথক সময়ে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
দুপুর দেড়টার দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
অন্যদিকে, বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের কাথম বেড়াগাড়ি এলাকায় দুই মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। বিকেল ৫টার দিকে কাথম মোড়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে বুলবুল নামে একজন নিহত হন।
দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাসুদ রানা নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার বোনসহ তিনজন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি এদিন বিকেলে বরিশাল নগরীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। এসময় তার সঙ্গে থাকা আরেকজন আহত হন।
যশোরের বাঘারপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আল আমিন (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মাদারীপুরের শিবচরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নাজমুল হাওলাদার (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হন। এ ঘটনায় তার দুই বন্ধু আহত হয়েছেন। একই দিনে গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কাজী সিয়াম (২৪) নামের অপর এক মোটরসাইকেলের আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
এ ছাড়া ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঈদের দিনে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে জুবায়ের হোসেন (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আর মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাদিয়া আক্তার ইতি (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
পাঠকের মতামত: