কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ইনানী জেটি থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু, বাপার প্রতিবাদ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ইনানী সমুদ্র সৈকতের জেটি ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটক জাহাজ চলাচল শুরুর প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।

ইনানী জেটি থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ ও জেটি ভেঙে দিতে আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কর্মীরা।

রোববার জেটি থেকে পর্যটন জাহাজ চলাচল শুরুর আগে শনিবার রাতে কক্সবাজার শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশও করেন তারা।

রোববার পর্যটন জাহাজ ‘এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ ইনানী জেটি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এর আগে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ জেটি থেকে জাহাজটি চলাচল করত।

কক্সবাজার বাপার সাধারণ সম্পাদক কলিমুল্লাহ কলিম বলেন, ‘পরিবেশগতভাবে সংকটপূর্ণ (ইসিএ) এলাকা ইনানীতে এ ধরনের জেটি কেন ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট ২০২২ সালে একটি রুল জারি করেছিলেন।’

রুলটি এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

‘এ অবস্থায় এই জেটি থেকে বাণিজ্যিক পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সমুদ্রকে বিভক্ত করে বানানো জেটি থেকে বাণিজ্যিক শিপিং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং মাছের আবাসস্থলকে নষ্ট করবে। জাহাজ থেকে তেল ছড়ানো এবং আবর্জনা ইনানী সৈকত সংলগ্ন সমুদ্রকে দূষিত করবে’, তিনি বলেন।

কক্সবাজার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন জানিয়েছেন, ইনানী জেটি থেকে জাহাজ চলাচলের কোনো অনুমতি কর্ণফুলী কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে নেয়নি।

বিষয়টি তারা দেখছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

এমবি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের কক্সবাজারের আঞ্চলিক পরিচালক হোসেনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, পরীক্ষামূলকভাবে ইনানী জেটি থেকে তারা সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু করেছেন। ১০-১২ দিন পরে বাণিজ্যিকভাবে নিয়মিত তাদের এই জাহাজ চলাচল শুরু হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন থেকে তারা কোনো অনুমতি নেননি বলে তিনি জানান।

তবে সমুদ্রে চলাচলের জন্য তাদের নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের অনুমতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অনুমতির ভিত্তিতেই আমরা ইনানী জেটি থেকে জাহাজ পরিচালনা শুরু করেছি।’

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ইনানীতে (রয়েল টিউলিপের সামনে) আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ (আইএফআর)-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জেটিটি নির্মাণ করে।

পাঠকের মতামত: