আবহাওয়া বার্তায় ছিল, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পরে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় হামুন। কিন্তু না। আবহাওয়া বার্তার আগেই পৌঁছে গেলো হামুনের বার্তা। মেরে দিলো ধাক্কা।
যে কারণে কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাতাসের ধাক্কায় বৃষ্টির পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র। টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়ার বেশ কিছু এলাকায় আঘাত হেনেছে হামুন। সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গুণ বেড়েছে। তবে এবার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে তেমন মানুষ দেখা মেলেনি।
ঝড়ো হাওয়ার কারণে শহরের হলিডে মোড়সহ অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গেছে।
খোদ আবহাওয়া অধিদপ্তরই বিদ্যুৎবিহীন থাকে। তারা সঠিক সময়ে বার্তা পৌঁছাতে পারেনি। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার আবহাওয়া কর্মকর্তারা।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শহরের পাহাড়তলীর জিয়ানগরে দেওয়াল চাপা পড়ে মোঃ আব্দুল খালেক (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি স্থানীয় খুইল্লা মিয়ার ছেলে ও পূর্ব পাহাড়তলী আদর্শ সমাজ কমিটির সদস্য।
চকরিয়ায় বদরখালীতে গাছ পড়ে আসকর আলী (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি বদরখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সভ্য।
মহেশখালীতে পাহাড় ধসে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় মেলে নি।
অপরদিকে, চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ও বিএমচর এলাকায় তিনজন আহত হওয়ার খবর মিলেছে।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী, হিমছড়িতে সড়কে গাছ পড়ার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এবং ৩ নং ওয়ার্ডের নূর পাড়ায় গাছ উপড়ে পড়েছে। উপজেলা এলাকায় একই অবস্থা।
বিশেষ করে, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকার সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ে দীর্ঘ প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহন আটকা থাকে। গন্তব্যে যেতে না পেরে অনেক গাড়ি উল্টো ফিরেছে।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সাথে তীব্র ঝড়ো হওয়া শুরু হয়। ওই সময় সড়কের যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় পুরো শহর অন্ধকারে থাকে।
কক্সবাজারে ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত অব্যাহত রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জেলায় বিদ্যমান ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫,০৫,৯৯০ জন লোকের ধারণক্ষমতা রয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রের ম্যানেজমেন্ট কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলার রিজার্ভে ১১,৯৫,০০০টাকা, ৬৪০.০০ মে. টন চাল, ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রয়েছে।
৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের চাহিদা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, জেলার নয়টি উপজেলার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে প্রাথমিকভাবে মোট সাড়ে চার লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। প্রয়োজনীয় এলাকায় আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে।
প্রকাশ:
২০২৩-১০-২৫ ১৩:০৯:০২
আপডেট:২০২৩-১০-২৫ ১৩:০৯:০২
- গরু চোর সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
- পাহাড় ভ্রমণে যাওয়া যাবে নভেম্বরে
- উখিয়ায় ইয়াবাসহ প্রাইভেটকার জব্দ, আটক ১
- উখিয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা
- উখিয়ায় চার ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা
- উখিয়ায় বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নেতা আনিস গ্রেফতার
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মহেশখালী থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অস্ত্র
- ক্যাম্পে থেকে ভাসানচরে যাচ্ছেন আরও ৯ শতাধিক রোহিঙ্গারা
- টেকনাফে চিরকুট লিখে স্কুলকক্ষে দপ্তরির আত্মহত্যা
- উখিয়া রাজাপালং মাদ্রাসার নবনির্মিত গেইট উদ্বোধন
- সর্বসাধারণের প্রতি যে বার্তা দিলো উখিয়ার আন্দোলনকারীরা
- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর অনুমোদন
- ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন
- টেকনাফে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ২১ লাখ টাকার স্বর্ণ অলংকার চুরি
- আমার সবই জাল: উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী সোলায়মান
- জেলাব্যাপী এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন
- শিক্ষাবৃত্তি শিক্ষাগ্রহণে শুধু উৎসাহিতই করে না শিক্ষা গ্রহণের পথও সুগম করে
- কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের লোকোমাস্টার বরখাস্ত
- চকরিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৫ নেতা আটক
- রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
- ইনানী সৈকতে নৌবাহিনীর জেটি দ্বিখণ্ডিত
পাঠকের মতামত: